প্রচলিত অর্থে ভূত মানে আত্দা বা অপচ্ছায়া। এর অস্তিত্ব শতভাগ প্রমাণিত না
হলেও বিশ্বজুড়ে যুগের পর যুগ মানুষ ভূতে বিশ্বাস করে আসছে। সেই বিশ্বাস
অনুসারে ভূত হলো মৃত ব্যক্তির আত্দা যা জীবিত ব্যক্তিদের সামনে দৃশ্যমান বা
অন্য কোনো অলৌকিক উপায়ে নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে সক্ষম। পৃথিবীর অনেক
প্রাচীন লোককাহিনী ও লোকগাথায় যেমন ভূতের অস্তিত্ব রয়েছে, ঠিক তেমনি আধুনিক
বিশ্বের মানুষের মুখেও প্রায়ই ভূতের গল্প শোনা যায়। এসব গল্পে ভূতকে
নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ বর্ণনায় কখনো অদৃশ্য, কখনো অস্বচ্ছ বায়বীয়
কখনো কখনো অদ্ভুতুড়ে প্রাণী আবার কখনো বাস্তবসম্মত সপ্রাণ মানুষ বা জীবের
আকারে ভূতকে তুলে ধরা হয়েছে। পৃথিবীর অনেক জাতিই ভূতে বিশ্বাস করে। তাদের
মতে, প্রাণীর শরীর থেকে আত্দা চলে গেলেই সে প্রাণহীন হয়ে যায়। কোনো কোনো
আত্দা প্রাণীর শরীর থেকে বের হওয়ার পরও ফিরে আসে। আর এই ফিরে আসা আত্দাই
হচ্ছে ভূত। কোনো শরীরী রূপ তার থাকে না। সে থাকে অস্পষ্ট। কিন্তু তার
চালচলন স্বাভাবিক জীবিত শরীরের মতো। তাকে স্পষ্ট দেখা যায় না। তবে উপলব্ধি
করা যায়।
প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতিগুলোর সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূতের প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সেই যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, জাদু ও ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো মৃতের আত্দাকে তুষ্ট করার জন্য। প্রচলিত বর্ণনা অনুযায়ী, ভূত একা থাকে, তারা নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘুরে বেড়ায়, জীবদ্দশায় যেসব বস্তু বা ব্যক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল সেগুলোকে তাড়া করে ফেরে। তবে ভূতবাহিনী, ভৌতিক ট্রেন, ভৌতিক জাহাজ এমনকি ভৌতিক জীবজন্তুর কথাও শোনা যায়।
প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতিগুলোর সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূতের প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সেই যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, জাদু ও ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো মৃতের আত্দাকে তুষ্ট করার জন্য। প্রচলিত বর্ণনা অনুযায়ী, ভূত একা থাকে, তারা নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘুরে বেড়ায়, জীবদ্দশায় যেসব বস্তু বা ব্যক্তির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল সেগুলোকে তাড়া করে ফেরে। তবে ভূতবাহিনী, ভৌতিক ট্রেন, ভৌতিক জাহাজ এমনকি ভৌতিক জীবজন্তুর কথাও শোনা যায়।
0 comments:
Post a Comment